করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউন উঠে যাচ্ছে ১১ আগস্ট থেকে। বুধবার থেকে প্রায় সবকিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও বিনোদনকেন্দ্র ও জমায়েত বন্ধই থাকছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যেসব বিষয় উল্লেখ করা হয়নি, যেমন- বিনোদনকেন্দ্র, জমায়েত, এগুলো চালুর অনুমতি দেওয়া হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকবে।
রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে বলা হয়, সড়ক, রেল ও নৌপথে আসনসংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন বা যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহনসংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।
তবে পরিবহণ মালিক সমিতি সব পরিবহণ খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। আজ মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অর্ধেক যানবাহন খোলা রাখার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আন্তঃজেলা বাস চলাচল কমাতেই গণপরিবহণের ক্ষেত্রে অর্ধেক গাড়ি রাস্তায় নামানোর শর্ত দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে রোববারের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। শপিং মল, মার্কেট ও দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। সব শিল্প-কলকারখানা চালু থাকবে। আর খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা যাবে। আদালতের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
দেশে মার্চের শেষ দিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দেয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণের নিয়ন্ত্রণে এ বছরের ৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ চলছে। ঈদের পর ২৩ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। যা প্রথমে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছিল। পরে তা ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়।