সবার জানা, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নেননি দুই শীর্ষ তারকা তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহীম। সাথে দেশের অন্যতম দক্ষ ও ফ্রি-স্ট্রোকমেকার লিটন দাস এবং লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবও ছিলেন না ওই সিরিজে।
এর মধ্যে তামিমই শুধু হাঁটুর ইনজুরির কারণে জিম্বাবুয়ের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ না খেলে দেশে ফিরেছেন। জানা গেছে, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তামিম দুই মাস বিশ্রামে থাকবেন। তাই তার পক্ষে নিউজিল্যান্ডর সাথে হোম সিরিজও খেলা হবে না।
মুশফিক, লিটন ও বিপ্লবের অবশ্য কোনো ইনজুরিজনিত সমস্যা ছিল না। তারা জিম্বাবুয়ে থেকে ফিরে আসেন ব্যক্তিগত কারণে নিজেদের প্রয়োজনেই।
মুশফিক তার বাবা-মা অসুস্থতার খবর পেয়ে জিম্বাবুয়ে থেকে তড়িঘড়ি করে দেশে ফেরত আসেন। জৈবসুরক্ষা বলয়ের বাইরে চলে যাওয়ায় তার পক্ষে আর অসিদের সাথে সিরিজ খেলা সম্ভব হয়নি।
বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে চলে আসেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। একইভাবে তার পক্ষেও আর জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকে অস্ট্রেলিয়ার সাথে সিরিজে অংশ নেয়া সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে ওপেনার লিটন দাস জিম্বাবুয়ে থেকে দেশে ফেরত আসেন শ্বশুরের অসুস্থতার খবর পেয়ে। তিনিও অস্ট্রেলিয়া সিরিজে খেলতে পারেননি।
আশার কথা, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজে হয়তো মুশফিক, লিটন আর বিপ্লব- তিনজনই দলে ফিরবেন। সিরিজের প্রস্তুতির জন্য তাদের আগামী ১৬ আগস্ট থেকে শেরে বাংলায় অনুশীলন করার কথাও রয়েছে তাদের। মুশফিক অবশ্য ব্যাট হাতে অনুশীলনে নেমে পড়েছেন অস্ট্রেলিয়া চলে যাওয়ার পরদিনই।
তারা তিনজন ছাড়া বাকিদের প্র্যাকটিস শুরু হবে আগামী ২৪ আগস্ট। সেখানে কি অস্ট্রেলিয়ার সাথে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে থাকা ১৭ জন আর মুশফিক, লিটন আর বিপ্লবই শুধু থাকবেন? নাকি আরও কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে?
অস্ট্রেলিয়ার সাথে সিরিজে ওপেনিং সংকট ছিল প্রকট। সৌম্য সরকার আর নাইম শেখ দুজনার কেউই ভালো খেলেননি। সৌম্যকে নিয়ে ছিল সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা।
পাঁচ ম্যাচের একটিতেও তার ব্যাট কথা বলেনি। ইনিংসগুলো ছিল- ২, ০ , ২ , ৮ ও ১৬ রানের। অর্থাৎ সবমিলিয়ে সৌম্যর সংগ্রহ ছিল সাকুল্যে ২৮ রান।
নাইম শেখ ৯১ রান (৩০, ৯ , ১ , ২৮ ও ২৩) করলেও স্ট্রাইকরেট ছিল খারাপ। মাঝে মধ্যে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে এরপর বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগোতে পারেননি। যে কারণে তার স্ট্রাইকরেট ছিল খুব কম, ১০০‘র আশপাশে।
ভেতরের খবর, নিউজিল্যান্ডের সাথে সিরিজে তাই ওপেনিং এবং অন্য পজিশনেও বাড়তি ব্যাকআপ পারফরমারের কথা ভাবা হচ্ছে। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আর ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান দুজনই জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, তারা ২২-২৩ জনকে জৈব সুরক্ষা বলয়ে রাখতে চান।
তার মানে মুশফিক-লিটন আর বিপ্লবই শুধু নয়, অস্ট্রেলিয়ার সাথে যে ১৭ জনের দল ছিল, তার সঙ্গে আরও দুই-তিনজন পারফরমারের অন্তর্ভুক্তি ঘটতে পারে। কিন্তু তারা কারা?
তবে কি আবার নাজমুল হোসেন শান্তকে ফেরানোর চিন্তাভাবনা চলছে? নাকি এবারের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের প্রিমিয়ার লিগে ভালো খেলা সাইফ হাসান, ইমরানউজ্জামান আর পারভেজ হোসেন ইমনের কাউকে বিকল্প ওপেনার হিসেবে বিবেচনায় আনা হচ্ছে? স্পিনিং অলরাউন্ডারের কোটায় মোহামেডান অধিনায়ক শুভাগত হোমও কি আছেন বিশেষ বিবেচনায়?
জাগো নিউজের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে নান্নুর জবাব, ‘আমরা ভেবেচিন্তে ও হিসেব কষেই তাদের নির্বাচন করব।’
প্রসঙ্গত, গতকাল (বুধবার) রাতে আলোচনায় বসেছিলেন নির্বাচক ও কোচরা। আজও তাদের বসার কথা রয়েছে। সেখানেই হয়তো নতুনদের অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি উঠে আসবে।