ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
চাঁদপুর-শরিয়তপুর ফেরি রুটে  কয়েক শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায়
Published : Saturday, 14 August, 2021 at 12:00 AM
মানিক দাস ॥ চাঁদপুরের সাথে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌরুট। এই নৌ পথে চট্টগ্রাম ও খুলনার যাত্রীবাহী বাস এবং দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াতকারী পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াত করে থাকে। চাঁদপুর-শরীয়তপুর প্রান্তে আলুবাজার ঘাটে প্রায় দুই কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পারাপারের অপোয় আটকে আছে প্রায় কয়েক শতাধিক যানবাহন।শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে ফেরিতে ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করায় এবং মাওয়া ঘাট থেকে পণ্যবাহী ট্রাক শরীয়তপুর-চাঁদপুর ঘাট দিয়ে পারাপারের জন্য আসার কারণে ট্রাকের চাপ বেড়েছে। আলুবাজার ঘাটের ম্যানেজার আব্দুল মমিন এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপ (বিআইডব্লিউটিসি) চাঁদপুরের ব্যবস্থাপক তুষারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, হরিণা ফেরিঘাটে বর্তমানে ছয়টি ফেরি চলছে। এতে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন পারাপার হচ্ছে। ফলে বাড়তি চাপ থাকায় এ রুটে নতুন ফেরি যোগ হতে পারে। তিনি ্ আরও জানান, শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বাংলাবাজার খায়েরপট্টি থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার অংশে গাড়ির দীর্ঘ সারি রয়েছে। যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি পণ্যবাহী ট্রাকের পরিমাণ বেড়েছে ঘাটে। গাড়ির চাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ।
ঘাটে অপোরত ট্রাক চালক বশির উল্লাহ, নাজমুল হক জানান, তারা নিয়মিত বাংলাবাজার ঘাট দিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন। কিন্তু কয়েকদিন ধরে পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কার ঘটনায় ওই রুটে চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বিকেলে আমরা আলুর বাজার ঘাটে এসেছি। এখনো নদী পার হতে পারিনি। সিরিয়ালে এখনো ২০০-২৫০ গাড়ি রয়েছে। বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার আব্দুল মমিন তুষার বলেন, বাংলাবাজার ফেরিঘাটে ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ঘাটে কিছুটা চাপ বেড়েছে। এখনো দুই থেকে আড়াইশ গাড়ি আটকে আছে। তার মধ্যে ২০/২৫ যাত্রীবাহী বাস, বাকি সব পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে। আমরা দ্রুত চেষ্টা করছি, যান চলাচল স্বাভাবিক করতে।