ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক, আটক ২০
Published : Tuesday, 2 November, 2021 at 12:00 AM
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের জাঙ্গাল গ্রামে এবং জেনারেল হাসপাতালে দুই দফা সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। সোমবার (১ নভেম্বর) বিকালে এ ঘটনা ঘটে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে অন্তত ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সুলতানপুর ইউনিয়নের জাঙ্গাল গ্রামের মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া প্রায়শই তার স্ত্রীকে মারধর করতেন। এ নিয়ে একই এলাকার শ্বশুর বাড়ির মাজু মিয়া প্রতিবাদ করেন। এ ঘটনার জের ধরে প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে উভয় পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে আহত অবস্থায় দুই পক্ষের অন্তত ২৫ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসা নিতে এসে সেখানে দুই পক্ষ ফের সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান ফটক আটকে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আটকরা হলেন- মো. শামীম মিয়া, সুমন মিয়া, মো. তৌহিদ মিয়া, জামিল আহমেদ, রুবেল মিয়া, মো. খলিলুর রহমান, মাহবুব রহমান, জহিরুল ইসলাম, ইয়ামিন মিয়া, সাদেক মিয়া, আকরাম হোসেন, ফাজু মিয়া, বাবুল মিয়া, দ্বীন ইসলাম, মো. ইসমাইল, রফিক মিয়া, মো. আরিফ ও জয়নাল মিয়া।
জেনারেল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. সাব্বির আহমেদ জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর অন্তত ২৫ জন রোগী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। হাসপাতালে এসে তারা আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ সময় হাসপাতাল থেকে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। তবে আহতদের মধ্যে কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, ‘সুলতানপুর ইউনিয়নের জাঙ্গাল গ্রামের জুয়েল তার স্ত্রীকে আজ সকালে মারধর করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র বিকালে জামাই এবং শ্বশুরবাড়ির পক্ষের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি হয়। পরে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় দুই পক্ষ হাসপাতালে আসে। হাসপাতালে এসে তারা সন্ধ্যার দিকে আবারও মারামারিতে লিপ্ত হন। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে ২০ জনকে আটক করে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’