স্কুলশিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ টিকা পাওয়ার সুবিধায় এবার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, “খুব শিগগিরই তা বাস্তবায়ন শুরু হবে।”
করোনাভাইরাস মহামারী ঠেকানো লড়াইয়ে প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাদান শুরুর আট মাস পর গত অক্টোবরে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়।
তবে স্কুলে স্কুলে না গিয়ে একটা কেন্দ্রে আশপাশের অন্তত পাঁচটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছিল। এতে শিক্ষার্থীদের টিকাদানে সমস্যা হচ্ছিল।
জাহিদ মালেক বলেন, “এজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেসব স্কুলে করোনাভাইরাসের টিকাদান কেন্দ্র নাই, আমরা কেন্দ্র করতে পারি নাই, ওই স্কুলে আমাদের টিম চলে যাবে, সেখানে টিকা দেবে।”
এখন যে কেন্দ্রগুলোয় টিকা দেওয়া হচ্ছে, তাও চলবে বলে জানান তিনি। ফাইজারের টিকা হিমাঙ্কের নিচে ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখতে হয়। এই টিকা দিতে হয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে। এ অবস্থায় এই টিকা সবগুলো স্কুলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব কি না, সাংবাদিকরা প্রশ্ন করে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে।
জবাবে তিনি বলেন, “আমরা এখন শুধু ঢাকায় না, ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাচ্ছি। এটা একটা চ্যালঞ্জ, আমরা সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি। আমাদের স্কুলের শিশুদের টিকা দিতে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, আমরা নেব।”
বিশ্ব অ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্কুলশিশুদের টিকাদান নিয়ে কথা বলেন জাহিদ মালেক।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ সিনোভ্যাকের ৭ কোটি ডোজের বেশি টিকা কিনছে। চীনের এই টিকা এই মাসেই আসা শুরু হতে পারে।
“আমরা এখনও শিডিউল পাইনি। আশা করছি, এ মাসের শেষে আসতে পারে, আগামী মাসেও আসতে পারে।”
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলমসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।