ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ফাইজারের কোভিড পিলও নেবে বাংলাদেশ
Published : Friday, 19 November, 2021 at 12:00 AM, Update: 19.11.2021 1:02:12 AM
ফাইজারের কোভিড পিলও নেবে বাংলাদেশফাইজারের তৈরি করোনাভাইরাসের পিল যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কাছ থেকে অনুমোদন পেলে বাংলাদেশেও তা আনার উদ্যোগ নেবে সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।
এ মাসের প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার জানায়, তাদের তৈরি অ্যান্টিইরাল পিল প্যাক্সলোভিড ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে (পরীক্ষামূলক প্রয়োগ) রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর ঝুঁকি ৮৯ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে বলে প্রমাণ মিলেছে।
ওষুধটির জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেতে ফাইজার এখন ট্রায়ালে পাওয়া ফল যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কাছে পেশ করবে। একইসঙ্গে ডব্লিউএইচওসহ আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কাছেও অনুমোদন পাওয়ার জন্য আবেদন করবে ফাইজার।
ফাইজারের প্যাক্সলোভিড বাজারে আসলে তা হবে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার দ্বিতীয় ওষুধ। এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রথম ওষুধ ‘মলনুপিরাভির’ বাজারে এসেছে।
লাগেভ্রিও ব্রান্ড নামে মার্ক শার্প অ্যান্ড ডোম (এমএসডি) ও রিজেবাক বায়োথেরাপিউটিকের যৌথভাবে তৈরি ওষুধটি যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদন পেয়েছে। বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন ব্রান্ড নামে ‘মলনুপিরাভির’ পাওয়া যাচ্ছে।
এখন প্যাক্সলোভিড বাংলাদেশে আনা হবে কি না জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “এই ওষুধটি যদি এফডিএ, ডব্লিউএইচও অ্যাপ্রুভড হয় তাহলে তা ব্যবহারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা এর আগে রেমডিসিভির নিয়েছি সবশেষ মলনুপিরাভিরও উৎপাদন করছি।
“এটাও (প্যাক্সলোভিড) যদি ভালো পর্যায়ে চলে আসে তাহলে আমরা তা অবশ্যই নিব। আমাদের কোম্পানিগুলোও সেই সুযোগ নিশ্চয়ই নেবে। এ ব্যাপারে আমরাও সব ধরনের সহযোগিতা করব।”
সরকারের এই নীতিগত অবস্থান জানালেও এই ওষুধ আনার বিষয়ে ‘সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনও আসেনি’ বলে মন্তব্য করেন জাহিদ মালেক।
বাংলাদেশে এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের মুখে খাওয়ার ওষুধ ‘মলনুপিরাভির’ তৈরি করা শুরু করেছে স্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারীরা।
স্কয়ার, বেক্সিমকো ও এসকেএফ তিনটি ভিন্ন ব্রান্ড নামে ওষুধটি বাজারে ছেড়েছে। ২০০ মিলিগ্রামের প্রতিটি ক্যাপসুলের দাম ঠিক করা হয়েছে ৫০ টাকা। একজন রোগীকে ৫ দিনে ৫০টি ক্যাপসুল খেতে হবে।
ওষুধটি উৎপাদনের প্রস্তাব পেয়েছেন বলে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের মহাব্যবস্থাপক (মার্কেটিং) মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান জানান।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও প্রস্তাব পেয়েছে। আমরা বিষয়টি রিভিউ করছি। এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি।
“এমপিপির আওতায় অনুন্নত-উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দেওয়া হবে। সে হিসাবে আমরাও এটা উৎপাদন করতে পারব।”
ফাইজারের তৈরি করোনাভাইরাসের পরীক্ষামূলক পিল ‘প্যাক্সলোভিড’ বাংলাদেশসহ নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের ৯৫টি দেশে সরবরাহ করতে পারবে জেনেরিক ওষুধ প্রস্তুতকারকরা।
আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য গোষ্ঠী মেডিসিন্স প্যাটেন্ট পুলের (এমপিপি) সঙ্গে লাইসেন্স ভাগাভাগির আওতায় দ্বিতীয় হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিটি মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
স্বেচ্ছায় লাইসেন্সিং ভাগাভাগির যে চুক্তি হয়েছে, তার আওতায় জাতিসংঘ সমর্থিত এমপিপি ফাইজারের পিএফ-০৭৩২১৩৩২ ওষুধটির নিজস্ব সংস্করণ তৈরিতে যোগ্য জেনেরিক ওষুধ প্রস্তুতকারকদের ‘সাব-লাইসেন্স’ দিতে পারবে।
এই ৯৫টি দেশের মধ্যে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে ওষুধটি বিক্রিতে রয়্যালটি নেবে না ফাইজার। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে বেশ কম দামে ওষুধটি মিলতে পারে।
চুক্তির আওতায় অন্য দেশগুলোও ততদিন রয়্যালটি ছাড় পাবে, কোভিড যতদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ঘোষণা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ‘জনস্বাস্থ্য জরুরি’ পরিস্থিতি হিসেবে শ্রেণিভুক্ত থাকবে।