ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
মাথার হাড় পেটে নিয়েই বাড়ি ফিরলেন সেই আকিব
Published : Friday, 19 November, 2021 at 12:00 AM, Update: 19.11.2021 1:02:21 AM
মাথার হাড় পেটে নিয়েই বাড়ি ফিরলেন সেই আকিবনিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কুমিল্লার ছেলে মাহাদী জে আকিব হাসপাতাল ছেড়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আকিবের চিকিৎসার তত্ত্বাবধান করা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান।
তিনি বলেন, আকিবকে স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন চিকিৎসকরা। আশঙ্কামুক্ত হওয়ায় তাকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) তিনি বাবার সঙ্গে কুমিল্লার বাড়িতে চলে গেছেন। সেখানেও তিনি চিকিৎসকের পর্যপেক্ষণে থাকবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আকিবের মাথার হাড় তাজা থাকার জন্য এখনও পেটে রাখা হয়েছে। একমাস পর তাকে আবার চট্টগ্রামে ডাক্তার দেখানো হবে। এরপর চিকিৎসকরা তার অপারেশনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
তবে পেট থেকে মাথায় হাড় লাগাতে আরও প্রায় দুই মাস লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন এই চিকিৎসক নেতা।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ২৯ অক্টোবর চমেকের প্রধান ছাত্রাবাস এবং ৩০ অক্টোবর চমেক ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। দ্বিতীয় দিনের সংঘর্ষে চমেক ক্যাম্পাসের পাশে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে আকিব গুরুতর আহত হয়। এরপর থেকে তিনি চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসাধীন থাকার সময় তার মাথার ব্যান্ডেজে ‘মাথায় হাড় নেই, চাপ দেবেন না’ লেখা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং আলোড়ন সৃষ্টি করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন চমেকে এককভাবে আধিপত্য বিস্তার করে আসছিলো আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী ছাত্রলীগের গ্রুপটি। নাছির চমেক হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিও ছিলেন দীর্ঘদিন। গত বছরের ২০ আগস্ট এ পদে দায়িত্বে আসেন উপমন্ত্রী নওফেল। তখন থেকে ধাপে ধাপে চমেক ক্যাম্পাসে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করে নওফেলের অনুসারী গ্রুপ। এরপর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপ কিছুদিন পরপর সংঘর্ষে জড়াতে থাকে এবং পাল্টাপাল্টি মামলাও হতে থাকে। সর্বশেষ ২৯ এবং ৩০ অক্টোবর ঘটনার পর মোট তিনটি পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয়।
এর মধ্যে ৩০ অক্টোবর দিনগত রাতে নওফেল গ্রুপের মো. তৌফিকুর রহমান বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় নাছির গ্রুপের ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ১ নভেম্বর নাছির গ্রুপের মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে চকবাজার থানায় পাল্টা মামলা করেন। ওই মামলায় নওফেল গ্রুপের ১৬ জনকে আসামি করা হয়। ৩ নভেম্বর নওফেল গ্রুপের ইমন সিকদার বাদী হয়ে চকবাজার থানায় নাছির গ্রুপের ১৬ জনের বিরুদ্ধে তৃতীয় দফায় মামলা করেন।