
শীতে চুল ও ত্বকের যত্নে গরম পানির ব্যবহারে তাপমাত্রা হতে হবে সঠিক। তবেই মিলবে গরম পানির সুফল।
*গরম পানি ব্যবহারের সময়
আড়াই শ গ্রাম নারকেল তেলের সঙ্গে ১০০ মিলিলিটার ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে বোতলে রাখা যাবে। প্রতিদিন গোসলের সময় ঝাঁকিয়ে গরম পানিতে ২–৩ ফোঁটা মিশিয়ে নিতে হবে। এটা ত্বক ও চুল—দুইয়েরই রুক্ষতা কমাবে ও আর্দ্রতা ঠিক রাখবে।
গরম পানি ব্যবহারের পর
গরম পানি দিয়ে গোসলের পর ত্বক ভেজা থাকা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার, নারকেল বা জলপাই তেল ব্যবহার করা উচিত। এতে ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্তভাব ফিরে আসে। পানির তাপমাত্রা বেশি হলে পানি ব্যবহারের পর ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে জলপাই তেল মিশিয়ে নেওয়া ভালো। এতে ত্বকের ক্ষতি কম হবে।
*ত্বক ও চুলের জন্য-
২০টি গোলাপ বা গাঁদা ফুলের পাপড়ি লবণ পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। এবার ২৫০ মিলিলিটার নারকেল তেলে ফুলের পাপড়িগুলো ১৫–২০ মিনিট জ্বাল দিন। ঠান্ডা হলে ছেঁকে সংরক্ষণ করা যাবে। গোসলের পানিতে এই তেলের কয়েক ফোঁটা দিয়ে নিলে শীতেও *ত্বক ও চুল থাকবে আর্দ্র।
অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বকের জন্য-
শীতে শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা কমে যায়, যাতে রুক্ষতা বাড়ে। তাই এক কাপ কাঁচা হলুদের রস জ্বাল দিয়ে আধা কাপ করে নিতে হবে। এতে এক কাপ নারকেল তেল বা জলপাই তেল মিশিয়ে হালকা তাপে ১৫–২০ মিনিট জ্বাল দিয়ে নিতে হবে। তেল ঠান্ডা হলে এতে ১ চা-চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে সংরক্ষণ করা যাবে। অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বকে এই তেল ভালো কাজ করে এবং তৈল গ্রন্থির ক্ষতি রোধ করে।
*চুলে গরম পানি-
শ্যাম্পু করার আগে কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এতে মাথার ত্বকের ছিদ্রগুলো খুলে যাবে এবং ভালোভাবে পরিষ্কার হবে। এবার শ্যাম্পু ব্যবহার করে একই পানি দিয়ে চুল পরিষ্কার করতে হবে। শেষে কন্ডিশনার ব্যবহারের পর স্বাভাবিক পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এতে মাথার ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাবে এবং মাথার কোষের ক্ষতি হবে না।