বাংলাদেশের
অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় জনগণের পে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা। তাঁর দৃঢ় নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আজ সব সংকট মোকাবেলা করে মাথা উঁচু
করে দাঁড়িয়ে আছে। সাম্প্রতিক বিশ্ব সংকট করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ
বিশ্বের মধ্যে ২০তম স্থানে রয়েছে। কল্যাণমুখী সরকার দেশের মানুষকে বিনা
মূল্যে দুই ডোজ করে এই টিকা দেবে। ওদিকে দৃশ্যমান হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা
সেতু। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি প্রকাশিত মানব উন্নয়ন সূচক প্রতিবেদন ২০২০-এ
বলা হয়েছে, বিশ্বের মানব উন্নয়ন সূচকে এগিয়ে যাওয়ার ধারাবাহিকতায় গত ৩০
বছরে বাংলাদেশ এগিয়েছে ৬০ শতাংশ। দণি এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের
অবস্থান পঞ্চম। পরিবেশের প্রভাবজনিত সমন্বিত মানব উন্নয়ন সূচকে আরো ৯ ধাপ
এগিয়েছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ আরো দুই ধাপ
এগিয়েছে। বর্তমানে এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৩তম। এ ছাড়া মানুষের
প্রত্যাশিত গড় আয়ু বেড়েছে ১৪.৪ বছর। ৭০ হাজার গৃহহীনকে ঘর দেওয়া হয়েছে। আরো
এক লাখ ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এই
ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে। ব্রিটেনের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর
ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ তাদের ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবিল ২০২১’
নামের রিপোর্টে এই পূর্বাভাস দিয়েছে যে, বাংলাদেশ এখন যে ধরনের অর্থনৈতিক
বিকাশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সাল নাগাদ দেশটি হবে
বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা, উন্নয়ন
সূচকে ঊর্ধ্বগতি এক শ্রেণির মানুষের একেবারেই ভালো লাগে না। তারই প্রতিফলন
দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, একটি ঈর্ষাকাতর বা ঈর্ষাপরায়ণ গোষ্ঠী বিদেশি মিডিয়া
ভাড়া করে সরকারের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগার ঘটনায়। বরাবরই বাংলাদেশবিরোধী এই
গণমাধ্যমটি সরকারবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বলেও অভিযোগ আছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুদ্ধাপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া বিভিন্নভাবে বিতর্কিত
করার অপচেষ্টা চালিয়েছে এই সংবাদমাধ্যমটি। অভিযোগ রয়েছে, তারা মুসলিম
ব্রাদারহুডের পে কাজ করে। সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া, উগ্র মতবাদ ও সহিংসতা
উসকে দেওয়া এবং সরকার পতনের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে সৌদি আরব,
বাহরাইন, আরব আমিরাত, জর্দান ও মিসরে এই টিভি চ্যানেলটি নিষিদ্ধ।
বাংলাদেশ
সামাজিক ও অর্থনৈতিক গণতন্ত্রে বিশ্বের অনেক দেশকে ছাড়িয়ে গেছে। আর সে
কারণেই রাজনৈতিক প্রতিপ নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই টিভি চ্যানেলটি সেই
ষড়যন্ত্রকে বাস্তবায়ন করতে ষড়যন্ত্রীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। কয়েক দিন আগেও
ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর নিয়ে তারা নেতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এসব অপপ্রচার প্রসঙ্গে জাতীয় সংসদের সমাপনী অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা বলেছেন, সরকারের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
একই সঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে
যাবে। দেশের মানুষ সম্মিলিতভাবে সব ষড়যন্ত্র রুখে দেবে এটাই আমাদের
প্রত্যাশা।