বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র ভার্চুয়াল সমাবেশ করেছে ‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন’।
রোববার রাতে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ঢাকায় না পেলেও শিঘ্রই তাদের শুভেচ্ছা বার্তা পাবো বলে আশা করছি।”
তিনি জানান, এ উপলক্ষে ইতোমধ্যে মার্কিন কংগ্রেসে একটি রেজ্যুলেশন উত্থাপিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি স্টেটের গভর্নর এবং পার্লামেন্টের প্রক্লেমেশন, ঘোষণাপত্র এবং রেজুলেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তারই মেয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করা হয়েছে।”
জর্জিয়া, নিউ হ্যামশায়ার, নিউ জার্সি স্টেট পার্লামেন্ট এবং স্টেট গভর্নররা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঘোষণাপত্র, সম্মাননাপত্র এবং রেজ্যুলেশন করেছেন। নিউ ইয়র্ক, ইলিনয়, লুইজিয়ানা স্টেটের রেজ্যুলেশন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সম্মিলিত এসব উদ্যোগে রয়েছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, বঙ্গবন্ধু পরিষদ এবং বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার ভেটার্ন্স’৭১। সহায়তা দিচ্ছেন নিউ ইয়র্কে কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা।
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “নিজ বসতভিটায় স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গাদের ফিরে যাবার পরিবেশ তৈরির জন্য মিয়ানমার প্রশাসনের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে প্রবাসীদের সোচ্চার থাকতে হবে। নিজ নিজ এলাকার সিনেটর, কংগ্রেসম্যানসহ হোয়াইট হাউজের নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে দেন-দরবার চালাতে হবে। মিয়ানমার বাংলাদেশের শত্রু নয়, বন্ধু। সেজন্য সবসময় চেষ্টা চালাচ্ছি শান্তিপূর্ণভাবে রোহিঙ্গাদের নিজ বসতভিটায় ফেরত পাঠাতে।”
মোমেন বলেন, “আমরা সার্থক নেতৃত্ব পেয়েছি। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পরিপূরক দেশ গড়তে নিরন্তর সচেষ্ট রয়েছেন। বাংলাদেশ এখন ‘ল্যান্ড অব অপরচ্যুনিটি’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক প্রবাসী দেশে ফিরে গেছেন বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য। বাংলাদেশ তাদের নানা সুযোগ দিচ্ছে।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মনসুর খন্দকার ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মিয়া, জর্জিয়া স্টেট সিনেটর শেখ রহমান, কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা, শিকাগোতে অনরারি কনসাল জেনারেল মনির চৌধুরী, কাউন্সিলম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুননবী, যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, নিউঅর্লিন্স ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর মোস্তফা সরোয়ার, নিউ ইয়র্কভিত্তিক সঙ্গীত শিক্ষার বিদ্যালয় ‘বহ্নিশিখা সঙ্গীত নিকেতন’ এর প্রতিষ্ঠাতা প্রধান সবিতা দাস, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাব আলী খান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়া করিম, প্রচার সম্পাদক লিটন চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক এ টি এম মাসুদ, ফাউন্ডেশনের খালেদা আকতার, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কোষাধ্যক্ষ ও ‘বিশ্ববাংলা টোয়েন্টিফোর টিভির’ চেয়ারম্যান আলিম খান আকাশ।