ইসমাইল নয়ন ॥
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় তীব্র গরমে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যাই বেশি। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, সুপেয় পানির অভাব এবং তৃষ্ণা মেটাতে রাস্তার পাশের খোলামেলা জায়গা থেকে ঠান্ডাজাতীয় পানীয় পান করার কারণে তুলনামূলক হারে ডায়রিয়া প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানা গেছে, গরমের কারণে এ বছরের মার্চের শুরু থেকেই ব্রাহ্মণপাড়ায় ডায়রিয়ার রোগী বাড়ছিল, এপ্রিলে এসে সেটি কিছুটা বাড়লেও মে মাসে এসে তীব্র গরমে সেটি আরও বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ডায়রিয়াজনিত সমস্যা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। ডায়রিয়া বৃদ্ধির কারণ হিসেবে গরমে রাস্তা পাশে এবং ফুটপাথে বিক্রয় করা পানীয় ও বাসী খাবারকে দায়ী করেছেন চিকিৎসকেরা।
এ ব্যাপারে, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আবু হাসনাত মোঃ মহিউদ্দিন মুবিন বলেন, গরম বৃদ্ধির কারণে আমাদের শ্রমজীবী ও নিম্নজীবী মানুষ রাস্তয় আখের রস, লেবুর শরবত পান করেন। এসব পানি মোটেও বিশুদ্ধ নয়। শরবতে মাছের জন্যে বা লাশের জন্যে রাখা বরফ দেওয়া হয়, যা পেটের জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকর।
তিনি বলেন, খোলামেলা জায়গায় এসব পানীয় বিক্রির কারণে উড়ন্ত ধুলাবালি এসব পানীতে পড়ে বিভিন্ন রোগজীবাণু আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। ডায়রিয়া মূলত পানি বাহিত রোগ। এসব খোলামেলা জায়গার জীবানুযুক্ত পানীয় পান ডায়রিয়া বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। তিনি আরও বলেন, আমাদের দরিদ্র শ্রেণির লোকেরা রান্না করা খাবার খাওয়া দাওয়ার পর অবশিষ্ট খাবার পরবর্তীতে ফ্রিজে রাখতে পারছেন না। ফলে গরমে অনেক সময় খাবার নষ্ট হয়ে যায় এবং সেটি খেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয় মানুষ। এজন্যে মানুষকে রাস্তার পাশে কিংবা ফুটপাতে বিক্রয় করা শরবত ধরনের পানীয় গ্রহণ না করা এবং রান্না করা খাবার দেরিতে না খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।