বেনাপোল পোর্ট থানার দুই নম্বর দুর্গাপুর গ্রামে বাস করেন ৬০ বছর বয়সী ফাতেমা বেগম। অনেক আগে তা স্বামী মারা গেছেন। সংসারে আয় রোজগার করার মত কোন সন্তানাদি ছিল না তার। তাই মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। শেষ বয়সে একটু ভালো থাকার জন্য ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকা করে জমিয়ে একটি ভবিষ্যৎ তহবিল করেন। এইভাবে জমা হয়েছিল প্রায় ৫০ হাজার টাকা।
তার এই তিল তিল করে জমানো টাকার দিকে নজর পড়ে এক প্রতিবেশীর। কৌশলে ফাতেমা বেগমকে বুঝিয়ে ধার নেন নগদ ৫০ হাজার টাকা। বেশকিছু দিন পর ওই টাকা ফেরত চাইলে তিনি নানা অজুহাতে আজ না কাল এভাবে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। অবশেষে শেষ সম্বলটুকু ফিরে পেতে একপর্যায়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েন ফাতেমা বেগম। টাকা ফেরত না পেয়ে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। এ অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিবেশীর কাছ থেকে ফাতেমার ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা জানান, তদন্ত করে টাকা উদ্ধার পূর্বক শুক্রবার ভিক্ষুক ফাতেমা বেগমকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। টাকা ফেরত পেয়ে খুশিতে কেঁদে ফেলেন এই বৃদ্ধা।
এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান বলেন, একজন ভিক্ষুক তার ধার দেওয়া টাকা ফেরত না পেয়ে থানায় অভিযোগ করে। ভিক্ষুকের অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করে ভিক্ষুকের শেষ সম্বল ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে ওই টাকা তার হাতে তুলে দেওয়া হয়।