নরসিংদিতে কুমিল্লার মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে মানববন্ধন
Published : Sunday, 23 May, 2021 at 12:00 AM
স্টাফ রিপোর্টার।। কুমিল্লার হরিজন কলোনীর মনা লাল সুইপারে মেয়ে কল্পনা রানীকে নরসিংদির স্বামীর বাড়িতে পুড়িয়ে হত্যায় বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সুজানগর হরিজন কলোনীতে এ মানববন্ধন হয়। এসময় তারা দাবি করেন যদি দ্রুত আসামিকে গ্রেফতার করা না হয় তাহলে নরসিংদীতে মানববন্ধন ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন করা হবে। এসময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হরিজন কল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক নসিব হরিজন, জামাল লাল (সর্দার), কুমিল্লা হরিজন ঐক্যপরিষদের যুগ্ম সম্পাদক নিমাই লাল, জীবন লাল (সর্দার), বালাম। এছাড়াও অগ্নিবীণা সমাজ কল্যাণ সংস্থা হরিজনদের সকল যৌক্তিক দাবির প্রতি পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছে।
নিহতের পরিবার ও থানায় অভিযোগে জানা যায়, প্রায় ৩ বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় নরসিংদী জেলার রাজু লাল বাঁশফোর ও কল্পনা রানীর। বিয়ের পর থেকইে কল্পনা রানী পরিবারের কাছে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিল রাজু লাল বাঁশফোর ও তার পরিবারের সদস্যরা। কল্পনা রানীর বাবার মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণ, ১৬ ভরি রূপাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র প্রদান করেন। এর মধ্যে কল্পনা রানী ঘরে দুইটি ছেলে সন্তান জন্ম হয়। বড় ছেলে অবিনাশ বাঁশফোর ও ছোট ছেলে মাধুর্য্য বাঁশফোর। বিয়ের ৩ বছর পর আবার যৌতুকের টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে রাজু লাল বাঁশফোর ও তার পরিবারের সদস্যরা। কল্পনা রানীর পিতার অক্ষমতার কথা চিন্তা করে এতে অপরাগতা প্রকাশ করায় গত ৭ মে যৌতুকের টাকা নিয়ে তাদরে মধ্যে পুনরায় বিবাধের সৃষ্টি হয়। এসময় রাজু লাল বাঁশফোর ও তার পরিবারের সদস্যদের প্ররোচনায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় কল্পনা রানী। গত ৭ মে রাতে কল্পনা রানী নিজের শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে কল্পনা রানীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই সময় তার শরিরের প্রায় ৯৪ শতাংশ পুড়ে যায়। ৮ মে শনিবার দুপুর ১২ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় কল্পনা রানীর। এ নিয়ে নরসিংদি ও কুমিল্লায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত কল্পনা রানীর বাবা নরসিংদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের চেষ্টা করলে প্রথমে পুলিশ মামলা নিতে অনিহা প্রকাশ করলেও পরে মামলা গ্রহণ করে। মামলার বাদী মনা লাল সুইপার জানান, যৌতুকের টাকা দিতে পারেনি বলে আমার মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা করা হল। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।