ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র প্রভাবে মোংলা ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুর ১২টা থেকে মাঝে মাঝে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, সেই সঙ্গে বইছে ঝড়ো হাওয়া।
মোংলা বন্দরে অবস্থানরত সবগুলো জাহাজের পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ বৃষ্টির কারণে ব্যাহত হলেও বন্ধ রাখা হয়নি। তবে সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে বন্দরে অবস্থানরত সবকটি জাহাজ ও অভ্যন্তরীণ লাইটারগুলোকে।
মোংলা উপকূলীয় অঞ্চলে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সংকেত ৪ নম্বর ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন মোংলা বন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা। এরপর সব বাণিজ্যিক জাহাজ ও লাইটারগুলোকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলা হবে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০৩টি সাইক্লোন সেল্টার ও এক হাজার চারশ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ওষুধ মজুত রাখা হয়েছে। মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার জানিয়েছেন, সতর্ক সংকেত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জরুরি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর ৮টি যুদ্ধ জাহাজ নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আঘাত আনলে উপকূলীয় এলাকায় তাদের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাহায্যের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র ক্ষতির কবল থেকে রক্ষায় সুন্দরবনের গহীন বনের ৮টি টহল ফাড়ি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওইসব বন কার্যালয়ে কর্মরতদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন। সেই সঙ্গে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাগুলো নিরাপদে আনা হয়েছে।