ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
‘কঠোর লকডাউনেও’ মহল্লার চায়ের দোকানে আড্ডা
Published : Saturday, 3 July, 2021 at 12:00 AM
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে চলছে ‘কঠোর লকডাউনের’ দ্বিতীয় দিন। লকডাউনে রাজধানীর পাড়া-মহল্লার গলির বেশিরভাগ চায়ের দোকান খোলা থাকতে দেখা যায়।
এসব দোকানের সামনে স্থানীয় এলাকাবাসীদের চলছে আড্ডা। টহলে থাকা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ির রাউন্ড দেখলেই স্থানীয়রা অলিগলিতে পালিয়ে যান।
শুক্রবার (০২ জুলাই) লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর নতুন বাজার, বিশ্বরোড মোড়, কুর্মিটোলা, মাটিকাটা, কালশী মোড় ও মিরপুর ১৪, ১২, ১১, ১০, ২ নম্বর এলাকার পাড়া-মহল্লা ও বাসস্ট্যান্ড এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
মিরপুরের পল্লবী এলাকার বাসিন্দা সেলিম আহমেদকে ঘর থেকে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাসার জন্য নাস্তা কিনতে হোটেলে এসেছি। নাস্তা তৈরি হতে সময় লাগছে, তাই একটু দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছি। শুক্রবার হওয়ায় প্রতিবেশী দুই-একজনও এসেছেন। তাদের সঙ্গে একটু কথা বলছি। নাস্তা নিয়েই চলে যাব।
মিরপুর-১১ নম্বর বি-ব্লক এলাকায় একটি বন্ধ দোকানের সামনের সিঁড়িতে দলবেঁধে বসে আড্ডা দিতে দেখা যায় কয়েকজন তরুণকে। আড্ডা দেওয়া অবস্থায় মো. আমজাদ বলেন, আমরা তো এখানে অল্প কয়েকজন পোলাপাইন আড্ডা দিতেছি। এই এলাকায় সন্ধ্যা সাতটার পরে অনেক ছেলেপেলে আড্ডা দেয়। লকডাউনে পুলিশের গাড়ি এখানে টহল দিতে আসে না। সিটি করপোরেশনের নতুন লাইট লাগানোর পর থেকেই এই গলিতে অনেক ছেলেপেলে আড্ডা দেওয়া শুরু করে।
বি-ব্লক এলাকার বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। তিনি বলেন, বি-ব্লক এলাকায় অনেক ছেলে এখানে আড্ডা দেয় সন্ধ্যার পরে। এখান থেকেই তারা নেশা করা ও জুয়া খেলার প্ল্যান করে। এখানে প্রাথমিক পরিকল্পনা করে তারা চলে যায় তাদের নিরাপদ স্থানে। অনেকদিন ধরেই চলছে এলাকায় আড্ডা। লকডাউনেও বন্ধ হয়নি এই এলাকার আড্ডা।
লকডাউনের মধ্যে মিরপুর-১১ রাবেতা ক্যাম্প এলাকার মোড়ে মোড়ে একসঙ্গে জড়ো হয়ে অনেককেই লুডু খেলতে দেখা যায়। মো. গুড্ডু বলেন, আমরা এখানে বসে মোবাইলে লুডু খেলি আর তো কিছু করিনা। পুলিশের গাড়ি এলে আমরা আমাদের মত করে সরে যাই। পুলিশ চলে গেলে আবার এসে বসে লুডু খেলা শুরু করি। লকডাউনে অন্য কোথাও যেতে পারি না এজন্য বাসার সামনে বসে বসে মোবাইলে লুডু খেলি।
এ বিষয়ে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পল্লবী থানা এলাকাটা একটু বড়। আমাদের পেট্রোল ইঞ্জিন লকডাউনের সব সময় টহল দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিহারীরা আমাদের কথা শোনেন না। প্রতিদিনই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। গতকালও আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।