যার ডাকে প্রশিক্ষিত হানাদারের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল বাংলার মানুষ, নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতা-হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সেই বাঙালিকে হারানোর দিনটি ফিরে এলো শোকের আবহ নিয়ে। এ বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া অস্তিত্বহীন। রোববার দুপুরে উপজেলা সদরের মসজিদ মার্কেট প্রাঙ্গণে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ আয়োজিত শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান মেহমান উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান আবুল কালাম আজাদ এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, তারা চেয়েছিলো বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে এদেশ নেতৃত্ব শূন্য করতে কিন্তু তাঁরা সফল হতে পারেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশ আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগনে যুবনেতা ও সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মনি, তাঁর সহধর্মিণী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়স্বজন। সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপদগামী সদস্য সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া। সেদিন অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ রোশন আলী মাস্টার, মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ড. আহসানুল হক কিশোর, উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক একএম সফিকুল আলম (ভিপি কামাল), পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ¦ আবুল কাশেম চেয়ারম্যান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ