বিশ্ব আরচ্যারিতে বাংলাদেশ এখন উজ্জ্বল এক নাম
Published : Sunday, 23 May, 2021 at 12:00 AM
বিশ্বকাপ
আরচ্যারি উপল্েয সুইজারল্যান্ডে আরচ্যারির অনেক শীর্ষ কর্তা। বাংলাদেশ
রিকার্ভ মিশ্র বিভাগের ফাইনালে যাওয়ায় বিশ্ব আরচ্যারি অঙ্গনে দৃষ্টি কেড়েছে
বাংলাদেশ। সেখানে আন্তর্জাতিক আরচ্যারির অনেক শীর্ষ কর্মকর্তা রোমান
সানাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
আরচ্যারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী
রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপল সুইজারল্যান্ডের লুজান থেকে ঢাকা পোস্টকে বলেন,
‘মাঠে, অনুশীলনে এমনকি হোটেলে আন্তর্জাতিক আরচ্যারির অনেক কর্মকর্তা, কোচ
আমাদের সাফল্যে বিস্ময় প্রকাশ করছে। আমাদের আরচ্যারি নিয়ে কৌতূহল অনেক।
বিশ্ব আরচ্যারিতে বাংলাদেশ এখন একটি নাম। আশা করি খুব দ্রুত আমরা বিশ্ব
আরচ্যারিতে একটি শক্তি হিসেবে আর্বিভূত হতে পারব।’
আগামীকাল রিকার্ভ
মিশ্র বিভাগে রোমানরা নতুন ইতিহাস রচনা করবেন। ফাইনাল নিয়ে সাধারণ সম্পাদক
বলেন, ‘আমরা স্বর্ণের ব্যাপারে আশাবাদী। কোচ, খেলোয়াড়দের ওপর বাড়তি কোনো
চাপ নেই। আবহাওয়া ও সব কিছু মিলিয়ে দিনটি আমাদের হলে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন
আরেকবার উৎসবে মাততে পারবে।’
সামনের মাসে প্যারিস বিশ্বকাপে নজর
আরচ্যারির এই অভিভাবকের, ‘সামনের মাসে আরেকটি বিশ্বকাপ রয়েছে। সেই বিশ্বকাপ
থেকে অলিম্পিকে কোটা প্লেসের সুযোগ আছে। আমরা সেখানেও ভালো কিছু করতে
চাই।’
আরচ্যারি সম্ভাবনাময় খেলা হিসেবে গত এক দশক ধরেই। এশিয়ান পর্যায়ে ও
বিশ্ব যুব পর্যায়ে পদক এসেছিল। তবে গত চার বছর বাংলাদেশের আরচ্যারির
স্বর্ণ যুগ। বাংলাদেশে গত চার বছরে ঢাকায় এশিয়ান আরচ্যারি, ইসলামিক
সলিডারিটি আরচ্যারি আয়োজন করে সাংগঠনিক দতা দেখিয়েছে। আবার মাঠের
পারফরম্যান্সেও নিজেদের জানান দিয়েছে।
২০১৯ সালে নেদারল্যান্ডে বিশ্ব
আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপে রোমান সানা ব্রোঞ্জ জিতে টোকিও অলিম্পিকে সরাসরি
খেলার সুযোগ নিশ্চিত করেছেন। ওই বছরই ভারতে এসএ গেমসে ১০টি স্বর্ণ পদক
জিতেছে বাংলাদেশ। দেড় বছর পর আন্তর্জাতিক আরচ্যারিতে ফিরেই আবার ফাইনালের
মঞ্চে।
আরচ্যারির এই সাফল্যের পেছনে সাধারণ সম্পাদক পৃষ্ঠপোষক
প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপকেই অবদান দিলেন অনেকাংশে, ‘জার্মান কোচ মার্টিন আসার
পর আমাদের পারফরম্যান্স ভালো হয়েছে। মার্টিনকে আমরা আনতে পেরেছি সিটি
গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতার জন্যই। ভালো মানের কোচ, নিয়মিত অনুশীলন ও টুর্নামেন্ট
খেলার মাধ্যমেই আমরা এই অবস্থানে আসতে পেরেছি।’
বাংলাদেশে আরচ্যারির
পথচলা খুব বেশি দিনের নয়। এক দশকের একটু বেশি সময়ে এই ডিসিপ্লিন এখন
বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ডিসিপ্লিন হওয়ার পথে। যেটা অন্য ফেডারেশনগুলোর জন্য
অনুকরণীয়।